পৃষ্ঠাসমূহ

রবিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১২

আমাদের জীবন কচু পাতার পানি নয়…



পার্বত্য শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের আগে ও পরে আমরা প্রতিনিয়ত কল্পনা চাকমার মতো কতো না প্রতিভাবান পাহাড়ি সন্তান হারিয়েই চলেছি। জাতি সমাজের ভাই-বোন হারানোর হাহাকার পাহাড় জুড়ে বিদ্যমান। …

কয়েকদিন আগেও হারালাম আশীষ চাকমাসহ নাম না জানা আরো অনেককে; আহত হলেন মিঙা প্রু, বিভাগীয় প্রকৌশলী জ্যোতি রঞ্জন চাকমাসহ অনেক অসহায় পাহড়ি মানুষ। কী দোষ ছিলো তাদের? তারা বিপদাগ্রস্থ ও  অসহায় পাহাড়ি– এটাই কী তাদের অপরাধ? আমরা ক্ষুদ্র জাতিস্বত্ত্বাগুলো গণতান্ত্রিক উপায়ে নিজেদের অধিকার দাবি করে আসছি; এটাই কী আমাদের অপোরাধ?
পার্বত্য শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের আগে ও পরে আমরা প্রতিনিয়ত কল্পনা চাকমার মতো কতো না প্রতিভাবান পাহাড়ি সন্তান হারিয়েই চলেছি। জাতি সমাজের ভাই-বোন হারানোর হাহাকার পাহাড় জুড়ে বিদ্যমান। …

কয়েকদিন আগেও হারালাম আশীষ চাকমাসহ নাম না জানা আরো অনেককে; আহত হলেন মিঙা প্রু, বিভাগীয় প্রকৌশলী জ্যোতি রঞ্জন চাকমাসহ অনেক অসহায় পাহড়ি মানুষ। কী দোষ ছিলো তাদের? তারা বিপদাগ্রস্থ ও  অসহায় পাহাড়ি– এটাই কী তাদের অপরাধ? আমরা ক্ষুদ্র জাতিস্বত্ত্বাগুলো গণতান্ত্রিক উপায়ে নিজেদের অধিকার দাবি করে আসছি; এটাই কী আমাদের অপোরাধ?

এসব প্রশ্নের উত্তর জানা থাকলেও এর প্রকৃত সমাধান কী হতে পারে, আমার তা জানা নেই । তবে আমি মনে করি, সরকারের পাশাপাশি আমাদের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলো্কেও পার্বত্য চট্টগ্রামের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দায়ভার বহন করতে হবে ।..

পাহাড়ের কোনো সহিংসতা ঘটনার পরে প্রায়ই রাজনৈতিক সমাবেশগুলোতে অনেক বক্তা এরকম বলে থাকেন যে, সরকার নাকি বধির। কিন্তু আমার মতে, অন্যের সম্পর্কে মন্তব্য করার আগে নিজের গায়েও ময়লা আছে কিনা, তা যাচাই করা যুক্তিযুক্ত। তাই শুধু সরকারকে দোষ দিয়ে কী লাভ? আগে নিজেরা যাচাই করুন সাধারণ জনগণের কাছে আপনাদের গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু। আপনারা জনগণের কাছ থেকে যে লাখ লাখ টাকা চাঁদা তোলেন; তা কী নিজেদের ভ্রাতৃীঘাতি সংঘাতে ব্যবহারের জন্য? পাহাড়িদের মধ্যে চাকমারা সংখ্যাগুরু,  তাই তারাই সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন বেশি; এ কারণে আমরা চাকমারা দিন দিন অন্য আদিবাসি পাহাড়িদের কাছে অপ্রিয় হচ্ছি।

আমি এতদিন ধরে জানতাম জনসংহতি সমিতি—জেএসএস = জনগণের সমিতি > কিন্তু আসলেই কী তাই? অন্যদিকে পার্বত্যবাসীর অধিকার আদায়ের পথপ্রদর্শক নাকি উইনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট—ইউপিডিএফ = একতাবদ্ধ জনবল > কিন্তু কতটুকু? জেএসএস-এর কাজ দেখলে মনে হয়, তারাই আমাদের স্বায়ত্বশাসন দেবে, সরকার নয় ।

আমার মতে, জেএসএস ও ইউপিডিএফ উভয়েই স্বাভাব-চরিত্রে অনেকটা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মতো। জেএসএস-এর আওয়ামী লীগের মতো এখনো কিছুটা নিজ জাতীর জন্য কিছুটা জাতীয় চেতনা রয়েছে। অন্যদিকে, আমরা পাহাড়িরা নিজেরাই নিজেদের অধিকার আদায়ের প্রশ্নে তালগোল পাকাচ্ছি, ভ্রাতৃঘাতি দ্বন্দ্বে লিপ্ত রয়েছি। …

মনে করি, দুই দিক থেকে মুখোমুখি দুটি মাইক লাগানো হয়েছে। একদিকের মাইকে আমি দাবি আদায়ের পক্ষে কথা বলে যাচ্ছি, অন্যদিকের মাইকে আর কেউ একই রকম কথা বলছে; মাঝখানে রয়েছে সরকার নামক এক জড়বস্তু । এখন বলুন তো, সরকার পক্ষ কী আমাদের কারো কথা শুনতে পাবে? এ অবস্থায় আমরা কী করে আশা করতে পারি যে, আমাদের অধিকার আদায় হবে?

পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোর গ্রহণযোগ্যতা, তথা জনপ্রিয়তা হারানোর পেছনে কী ভ্রাতৃঘাতি দ্বন্দ্ব দায়ী নয়? সরকার ও বাঙালি সেটেলার কর্তৃক বার বার পাহাড়িদের ওপর আঘাত হানার পরোক্ষ দায় কী তাদেরও নেই? সময়ের দাবি, জনগণের দাবি, শিক্ষিত সমাজের দাবি—একতাবদ্ধতার জন্য আপনারা কতটুকু দাম দিয়েছেন? আপনাদের কাছে তো আমাদের একটাই দাবি, একটাই চাওয়া—তা হচ্ছে একতা। সরকার বধীর বলেই আমরা সাধারণ জনগণ ন্যায় বিচার পাইনা। কিন্তু আপনারাও কী বধীর নন?

এক সময় সাবেক গেরিলা দল শান্তিবাহিনী গঠনকালে ছাত্রাবস্থায় অনেকই নিজের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা না করে জুম্ম (পাহাড়ি) জাতির জন্য কাজ করেছেন। আমার জানতে ইচ্ছে করে, এখন কতোজন তমেন নি:স্বার্থভাবে কাজ করতে উদ্যোগী? একজন মূমূর্ষূ রোগির জন্য এক ফোঁটা রক্তের যেমন মুল্য আছে, তেমনি আমাদের সাধারণ জনগণেরও রয়েছে জীবনের মুল্য । তাই আপনারা পাহাড়ি জাতির জন্যই যদি কাজ করতে চান, তাহলে আগে নিজেরা একতাবদ্ধ হোন!

আমাদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অধিকার কারো নেই, না সরকারের, না জেএসএস-এর, না ইউপিডিএফ-এর।  আমাদের জীবন আর যাই হোক, কচু পাতার পানি নয়।…
এসব প্রশ্নের উত্তর জানা থাকলেও এর প্রকৃত সমাধান কী হতে পারে, আমার তা জানা নেই । তবে আমি মনে করি, সরকারের পাশাপাশি আমাদের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলো্কেও পার্বত্য চট্টগ্রামের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দায়ভার বহন করতে হবে ।..

পাহাড়ের কোনো সহিংসতা ঘটনার পরে প্রায়ই রাজনৈতিক সমাবেশগুলোতে অনেক বক্তা এরকম বলে থাকেন যে, সরকার নাকি বধির। কিন্তু আমার মতে, অন্যের সম্পর্কে মন্তব্য করার আগে নিজের গায়েও ময়লা আছে কিনা, তা যাচাই করা যুক্তিযুক্ত। তাই শুধু সরকারকে দোষ দিয়ে কী লাভ? আগে নিজেরা যাচাই করুন সাধারণ জনগণের কাছে আপনাদের গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু। আপনারা জনগণের কাছ থেকে যে লাখ লাখ টাকা চাঁদা তোলেন; তা কী নিজেদের ভ্রাতৃীঘাতি সংঘাতে ব্যবহারের জন্য? পাহাড়িদের মধ্যে চাকমারা সংখ্যাগুরু,  তাই তারাই সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন বেশি; এ কারণে আমরা চাকমারা দিন দিন অন্য আদিবাসি পাহাড়িদের কাছে অপ্রিয় হচ্ছি।

আমি এতদিন ধরে জানতাম জনসংহতি সমিতি—জেএসএস = জনগণের সমিতি > কিন্তু আসলেই কী তাই? অন্যদিকে পার্বত্যবাসীর অধিকার আদায়ের পথপ্রদর্শক নাকি উইনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট—ইউপিডিএফ = একতাবদ্ধ জনবল > কিন্তু কতটুকু? জেএসএস-এর কাজ দেখলে মনে হয়, তারাই আমাদের স্বায়ত্বশাসন দেবে, সরকার নয় ।

আমার মতে, জেএসএস ও ইউপিডিএফ উভয়েই স্বাভাব-চরিত্রে অনেকটা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মতো। জেএসএস-এর আওয়ামী লীগের মতো এখনো কিছুটা নিজ জাতীর জন্য কিছুটা জাতীয় চেতনা রয়েছে। অন্যদিকে, আমরা পাহাড়িরা নিজেরাই নিজেদের অধিকার আদায়ের প্রশ্নে তালগোল পাকাচ্ছি, ভ্রাতৃঘাতি দ্বন্দ্বে লিপ্ত রয়েছি। …

মনে করি, দুই দিক থেকে মুখোমুখি দুটি মাইক লাগানো হয়েছে। একদিকের মাইকে আমি দাবি আদায়ের পক্ষে কথা বলে যাচ্ছি, অন্যদিকের মাইকে আর কেউ একই রকম কথা বলছে; মাঝখানে রয়েছে সরকার নামক এক জড়বস্তু । এখন বলুন তো, সরকার পক্ষ কী আমাদের কারো কথা শুনতে পাবে? এ অবস্থায় আমরা কী করে আশা করতে পারি যে, আমাদের অধিকার আদায় হবে?

পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোর গ্রহণযোগ্যতা, তথা জনপ্রিয়তা হারানোর পেছনে কী ভ্রাতৃঘাতি দ্বন্দ্ব দায়ী নয়? সরকার ও বাঙালি সেটেলার কর্তৃক বার বার পাহাড়িদের ওপর আঘাত হানার পরোক্ষ দায় কী তাদেরও নেই? সময়ের দাবি, জনগণের দাবি, শিক্ষিত সমাজের দাবি—একতাবদ্ধতার জন্য আপনারা কতটুকু দাম দিয়েছেন? আপনাদের কাছে তো আমাদের একটাই দাবি, একটাই চাওয়া—তা হচ্ছে একতা। সরকার বধীর বলেই আমরা সাধারণ জনগণ ন্যায় বিচার পাইনা। কিন্তু আপনারাও কী বধীর নন?

এক সময় সাবেক গেরিলা দল শান্তিবাহিনী গঠনকালে ছাত্রাবস্থায় অনেকই নিজের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা না করে জুম্ম (পাহাড়ি) জাতির জন্য কাজ করেছেন। আমার জানতে ইচ্ছে করে, এখন কতোজন তমেন নি:স্বার্থভাবে কাজ করতে উদ্যোগী? একজন মূমূর্ষূ রোগির জন্য এক ফোঁটা রক্তের যেমন মুল্য আছে, তেমনি আমাদের সাধারণ জনগণেরও রয়েছে জীবনের মুল্য । তাই আপনারা পাহাড়ি জাতির জন্যই যদি কাজ করতে চান, তাহলে আগে নিজেরা একতাবদ্ধ হোন!

আমাদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অধিকার কারো নেই, না সরকারের, না জেএসএস-এর, না ইউপিডিএফ-এর।  আমাদের জীবন আর যাই হোক, কচু পাতার পানি নয়।…

Link : http://w4study.com/?p=1693

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন